Statements of Radical Socialist

জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে র‍্যাডিক্যাল সোশ্যালিস্টের অবস্থান

 

অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করা ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে অত্যন্ত লাভজনক হয়েছে। কেননা শোষিত-নিপীড়িত শ্রমজীবী মানুষকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করার একটি বড় সুযোগ তারা পেয়ে গিয়েছে। এই ক্ষেত্রে ভাষাভিত্তিক জাতিগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের সংঘাতের সঙ্গে তারা অত্যন্ত সুকৌশলে জুড়ে দিয়েছে ধর্মীয় পরিচিতিকে। 



জাতীয় নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত খসড়ায় বাদ পড়া মানুষের সংখ্যাটা বিপুল। নাগরিক পঞ্জিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন ৩ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষ। বাদ গিয়েছেন ৪০ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ। কিছু উৎকট বাদ পড়া ব্যতিরেকে যা সবচেয়ে উদ্বেগজনক, তা হল বাদ পড়া মানুষের সংখ্যাটা। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের যুক্তি, এটি একটি খসড়া, চূড়ান্ত তালিকায় নাম ঢোকানোর সুযোগ আছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটিতে প্রবেশ করার আগে কয়েকটি মৌলিক প্রসঙ্গের বিষয়ে অবতারণা জরুরি।

 

আন্তর্জাতিকতাবাদী হিসাবে আমরা আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের বিরোধী। সেই সঙ্গে সমস্ত জাতিগত, ভাষাগত এবং ধর্মীয় বিভাজন, মেরুকরণ ও ঘৃণার বিরোধী। যে বিভাজন শ্রমিকশ্রেণী এবং প্রশস্ততর শ্রমজীবী মানুষের ঐক্যকে দুর্বল করে, আমরা তার তীব্র বিরোধিতা করি। যে যুগে পুঁজিবাদ দাবি করছে, সে সমস্ত সীমান্ত অগ্রাহ্য করবে। গত ত্রিশ বছর ধরে প্রতিটি সরকারই সীমান্ত পেরিয়ে পুঁজির চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে এবং অবাধ করেছে, সেই যুগে এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর ও নিন্দনীয় যে, প্রবল রাষ্ট্রীয় শক্তিকে ব্যবহার করে কেবল মানুষের চলাচলকেই ঠেকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যখন ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী পাঁচ লক্ষ ভারতীয়কে ‘বেআইনি’ বলে ঘোষণা করছে, তখন একই ভাবে ভারত সরকারের নিজ দেশের বসবাসকারী মানুষদের প্রতিও সম মনোভাব থেকে এটাই স্পষ্ট যে, দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যসমূহ সাধারণ মানুষের স্বার্থের সামনে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।

 

জাতীয় নাগরিক পঞ্জির পক্ষে মূলত চারদফা যুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

  • প্রথমত, অসম চুক্তির মধ্যেই নতুন করে নাগরিক পঞ্জি তৈরির সূত্র ছিল।
  • দ্বিতীয়ত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের মান্যতা দিতে নাগরিক পঞ্জি তৈরি করতেই হত।
  • তৃতীয়ত, ভারতীয়দের চাকরি ও কর্মসংস্থানের সুয়োগ বজায় রাখতে এটা করা জরুরি।
  • চতুর্থত, বাংলাদেশ থেকে আসা ‘বেআইনি’ অভিবাসন অসমের জনবিন্যাসকে বিকৃত করে দিয়েছে।

 

এই চার যুক্তিকে সামনে রেখেই বিজেপি এবং অবশ্যই সংঘপরিবার এক নির্লজ্জ্ব সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ শুরু করে দিয়েছে। ফলে গোটা প্রক্রিয়াটিরই সম্প্রদায়িকীকরণ ঘটে গিয়েছে। মৌখিকভাবে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রচার চালানো হচ্ছে— এটা বাঙালি-অসমীয়া দ্বন্দ্ব নয়, আদতে এটা হল হিন্দু বনাম মুসলিম দ্বৈরথ। আমরা কোনও জাতিভিত্তিক বা আন্তর্ধর্মীয় সংঘাতকে সমর্থন করি না। বিজেপি তার নিজস্ব অ্যাজেন্ডা অনুসারে গোটা প্রক্রিয়াটির মধ্যেই এক উৎকট ধর্মীয় বিভাজন রেখা এঁকে দিয়েছে। বলা হচ্ছে হিন্দু হলেই সে হবে ‘শরণার্থী’ এবং মুসলিম হলেই সে হবে ‘অনুপ্রবেশকারী’। একই সঙ্গে ধর্মের ভিত্তিতে ঘৃণা ছড়ানোর প্রক্রিয়াটিও ক্রমশই তীব্র করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য বিবিধ। প্রথমত, শোষক-শোষিতের শ্রেণী দ্বন্দ্বকে হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বে পরিণত করা এবং দ্বিতীয়ত তার সম্পূর্ণ ফায়দা তুলে শ্রেণী ব্যতিরেকে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন আদায় করে নেওয়া। আমরা দ্বিধাহীনভাবে এই বিভাজন ও বিভেদমূলক নীতির তীব্র বিরোধিতা করি এবং সেই কারণেই প্রত্যাখ্যান করি জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকে।

 

জম্মু-কাশ্মীরের মতো কোনও নির্দিষ্ট সাংবিধানিক অন্তরায় না থাকলে কোনও একটি রাজ্যে একটি জাতিগোষ্ঠী ঐতিহাসিক ভাবে বসবাস করলে অন্য জাতিগুলির অভ্যন্তরীণ অভিবাসন বন্ধ করতে হবে—এই তত্ত্ব আমরা সম্পূর্ণ অস্বীকার করি। কেননা এই প্রচেষ্টা একটি হিংসাশ্রয়ী আঞ্চলিকতাবাদের জন্ম দেয়। এই চেষ্টা মহারাষ্ট্রের শিবসেনা, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের মদতপুষ্ট বাংলাপক্ষ বা কোনও জাত্যাভিমানী অসমীয়া গোষ্ঠী, যারাই করুক না কেন, তা সমানভাবেই বর্জনীয়। কারণ বেশিদূর চললে এর পরিণতি হতে পারে জাতিগত হিংসা থেকে জাতিগত সংখ্যালঘুদের গণনিধন।

 

কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, এই প্রক্রিয়াটি ২০১৯ সালে ভোটে জেতার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় গোষ্ঠীকে গৈরিক শিবিরের পাশে সমবেত করার চেষ্টা। কিন্তু বিষয়টি এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরি আদতে ভারতীয় জাতীয়তার সজ্ঞা বদলে দেওয়ার জন্য সংঘ পরিবারের নির্দিষ্ট রণনীতির অংশ। যদি একবার জাতীয় নাগরিক পঞ্জি সাফল্যের সঙ্গে বলবৎ করা যায়, তাহলে জাতিভিত্তিক গণ খতমের রাজনীতি নৈতিক ন্যায্যতা পেয়ে যাবে। আমাদের মনে রাখা উচিত ১৯৮৩ সালে নেলির গণহত্যা একই বিজাতীয় বিদ্বেষের ফসল।

 

এর বাইরেও কয়েকটি নীতিগত প্রসঙ্গের অবতারণা অত্যন্ত জরুরি।

 

প্রথমত, আমরা এমন কোনও নীতি মানি না, যে নীতিতে মানুষকেই প্রমাণ করতে হয় সে বা তারা ন্যায়সঙ্গত নাগরিক। বরং রাষ্ট্রকেই প্রমাণ দিতে হবে সে বা তারা কোনও বেআইনি কাজ করেছেন কিনা। তা না হলে বিচারব্যবস্থার সেই মূল নীতিকেই আঘাত করা হবে, যেখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র দোষ প্রমাণ করতে না পারলে অভিযুক্ত নির্দোষ। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ মধ্যরাত্রির আগে তাঁরা ভারতে ছিলেন কিনা তা নথিপত্র দিয়ে প্রমাণ করা তাঁদের দায়িত্ব হতে পারে না। বরং রাষ্ট্রকেই প্রমাণ করতে হবে নাগরিক পঞ্জি থেকে যাঁরা বাদ গিয়েছেন, তাঁরা নির্দিষ্ট সময়সীমার পরে অনুপ্রবেশ করেছেন। এটা মনে রাখা জরুরি যে বিপুল সংখ্যক ভারতবাসী হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন না এবং সেই কারণেই তাঁদের জন্মের শংসাপত্রও থাকে না। রাষ্ট্র তার সমস্ত নাগরিক প্রসূতিকে সেই পরিকাঠামো এখনও দিতে পারেনি যে তারা হাসপাতালে প্রসব করবেন। বিপুল সংখ্যক ভারতবাসীর পাসপোর্ট ও নেই। যদিও এই দু'টিকেই নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নথি হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে।

 

দ্বিতীয়ত, অসম চুক্তির নামেই হোক আর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নামেই হোক ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ মধ্যরাত্রিকে চূড়ান্ত এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা হিসাবে মানতে আমরা অস্বীকার করি। ধরা যাক ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে কোনও পরিবার ভারতে এসেছিলেন। ২০১৮ সালেও ভারতে থাকার অর্থ হল, ওই পরিবারটি ৪৭ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন। ভারতের নাগরিকত্ব আইন বলে, একাদিক্রমে ভারতে ১২ বছর বসবাস করলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। তাঁরা যে আইনত বেআইনি বসবাসকারী, রাষ্ট্রকেই তা প্রমাণের দায় নিতে হবে। ২০১৮ সালে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালকে নির্দিষ্ট তারিখ হিসাবে আদৌ মেনে নেওয়া যায় না।

 

তৃতীয়ত, ব্যক্তিটি যিনিই হোন না কেন, আদতে তিনি একজন ভারতবাসী। নাগরিক পঞ্জির তথাকথিত বিধি তাকে বেআইনি বসবাসকারী বানাতে পারে, কিন্তু তাঁকে বলপূর্বক মায়ানমার বা বাংলাদেশে পাঠানোর আমরা তীব্র বিরোধী। ভারতে ঐতিহ্য রয়েছে বিপুল সংখ্যক তিব্বতী, শ্রীলঙ্কার তামিল, চাকমা এবং অন্যান্যদের আশ্রয় দেওয়ার। এক্ষেত্রেও সেই ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানানো উচিত বলে আমরা মনে করি। নাগরিক পঞ্জি বা নাগরিকত্ব নির্ধারণের যে কোনও প্রক্রিয়াই যেন কোনওভাবেই মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী প্রক্রিয়ায় পরিণত না হয়। যেহেতু তথাকথিত অ-নাগরিকদের ভারত থেকে বহিষ্কার করার সুযোগ নেই, সেহেতু ধরেই নেওয়া যায়, এঁরা রাষ্ট্রচ্যুত মানুষ হয়ে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত বাসিন্দা হিসাবে প্রশাসনের দাক্ষিণ্যের ওপর নির্ভরশীল জীবন যাপন করবেন। সমস্ত বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে এর বিরোধিতায় নামতে হবে। যদি অসম বা সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতে জন পরিচিতি উদ্বেগের কারণ থাকে, তাহলে আলোচনার পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। কোনও জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

 

এই নীতিগত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার পরই খুঁটিনাটি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অসম চুক্তি রূপায়ণের একটি পদক্ষেপ হিসাবে নয়। নাগরিক পঞ্জি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছিল অসমের পূর্বতন কংগ্রেস সরকার। অসম চুক্তিতেই বলা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ মধ্যরাত্রি হবে নাগরিকত্ব প্রমাণের রেখাচিহ্ন। ১৯৫১ সালের নাগরিক পঞ্জি এবং ১৯৭১ সালের ভোটার তালিকাকে নতুন এনআরসিতে নাম ঢোকানোর মূল ভিত্তি হিসাবে রাখা হয়েছে। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকায় নাম ওঠে এবং বাদ পড়ে যায়, তাতে একথা বলা কঠিন নয় যে, এনআরসি থেকে নাম বাদ পড়ার ভিত্তি এখানেই সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়াও ১৯৪৭ সালের পর থেকে অসম অনেকবারই বিভক্ত হয়েছে। বার বার নতুন নতুন অভিবাসন ঘটেছে। প্রত্যেকের ক্ষেত্রে প্রতিটি বাসাবদলের নথি রেখে দেওয়া সম্ভব নয়। এই সমস্যা বিশেষ করে গরিব মানুষের ক্ষেত্রে ভীষণভাবে সত্যি। এনআরসিতে আবার পঞ্চায়েতের দেওয়া শংসাপত্র গ্রাহ্য নয়। 


অসমে ট্রান্সজেন্ডার গোষ্ঠীগুলির সামনে এক বিশেষ সমস্যা এসেছে। এঁদের বেশিরভাগই হয় জন্মের পরই পরিত্যক্ত অথবা পরে পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে আসা। অনেকেই আরোপিত লিঙ্গ পরিচিতি থেকে ভিন্নতা অনুভব করেন। এঁরা বিভিন্ন ট্রান্স/রূপান্তরকামী/রূপান্তরিতদের সঙ্গে নিজেদের সমাজে পরিবার হিসাবে বসবাস করন। এঁদের কাছে যে সব নথিপত্র চাওয়া হচ্ছে, তা দেওয়া এঁদের পক্ষে অসম্ভব। বর্তমান এনআরসি বলবৎ হলে অন্তত পক্ষে ২০ হাজার, গোপন রূপান্তরকামীদের ধরলে কমপক্ষে দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষকে বেআইনি অভিবাসনকারী হিসাবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন শিবিরে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।

 

বিজেপি একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক খেলা খেলছে। পাসপোর্ট এন্ট্রি রুল সংশোধন করে এবং নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী বিল এনে তারা নাগরিক এবং অভিবাসনকারীদের একটি সাম্প্রদায়িকতাবাদী কাঠামোর মধ্যে দেখতে চায়। যেখানে মুসলিমদের দূরে সরিয়ে রাখা হবে এবং শত্রু হিসাবে গণ্য করা হবে।

 

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও তাদের মিত্র বুদ্ধিজীবীরাও আদতে বিজেপির খেলাই খেলছেন। কেননা তাঁরা এনআরসির প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন গণতান্ত্রিকতার ভিত্তিতে নয়, বাঙালি জাত্যাভিমনের ভিত্তিতে। ইতিমধ্যেই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। উদ্দেশ্য, মুসলিমদের বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে দেখানো। ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের এটাই তাদের রণনীতি।

 

আমরা বিজেপির এই ভয়ঙ্কর রণনীতির চূড়ান্ত বিরোধী। একই ভাবে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি তৃণমূলের বাঙালি জাত্যাভিমানকেও। আমরা তৃণমূলকে কোনও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের রক্ষক বলেই মনে করি না।


এই সঙ্গেই আমরা দাবি করছি, অসমের এনআরসিতে বাদ পড়া ৪০ লক্ষ মানুষের মধ্যে যাঁরা আর অসমে থাকতে চাইবেন না, তাঁদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিয়ে অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।